অবশ্য রিয়াদে অনুষ্ঠিত ইসলামী সম্মেলনের পর মিসরের মাধ্যমে গাজায় সৌদি আরবের ত্রাণ সহায়তা পাঠানো হয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত গণ্যহত্যায় সমর্থনের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আইনি সহায়তা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস। গত সোমবার ক্যালিফোর্নিয়া রাজ্যের সান ফ্রান্সিসকোর ফেডারেল আদালতে করা মামলাটি বিভিন্ন ফিলিস্তিনি সংগঠন এবং গাজায় আত্মীয়-স্বজন থাকা আমেরিকান নাগরিকদের পক্ষ থেকে করা হয়। ৮৯ পৃষ্ঠার মামলার নথিতে ৭৫ বছরের ইতিহাস তুলে ধরে বলা হয়, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে গণহত্যা প্রতিরোধ করা বাইডেন প্রশাসনের দায়িত্ব হলেও তারা তা পালন করেনি, বরং নিজেদের প্রভাব ও ক্ষমতা ব্যবহার করে ইসরায়েলি হামলার সীমারেখা নির্ধারণে অস্বীকৃতি জানায়।
তা ছাড়া ফিলিস্তিনে ইসরায়েলের দখলদারি, গাজায় অবরোধ আরোপ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত গণহত্যার অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েল কর্তৃক সংঘটিত বর্বর হত্যাযজ্ঞের বিচার করতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে মিসরের বিশ্বখ্যাত আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়। গাজার হাসপাতালগুলোতে হামলার নিন্দা জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির গ্র্যান্ড ইমাম শায়খ ড. আহমদ আল-তাইয়িব এক বিবৃতিতে বলেন, পুরো বিশ্বকে দখলদার ইহুদিদের সমর্থন থেকে হাত গুটিয়ে নিতে হবে। কারণ তারা নিরপরাধ অসুস্থ, শিশু, নারী ও বৃদ্ধদের ওপর বোমাবর্ষণ করেছে, যা সবচেয়ে জঘন্য অপরাধ।
সূত্র : আলজাজিরা