IQNA

নীতি নির্ধারণী পরিষদের সদস্যদের সাথে বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা:

শত্রুতা নিরাময়ের উপায় হচ্ছে দণ্ডায়মান থাকা; ছোটখাটো ঘটনার মাধ্যমে দেশ গঠনে নিয়োজিত কর্মকর্তাদের বিভ্রান্ত করা ঠিক নয়

12:35 - October 13, 2022
সংবাদ: 3472639
তেহরান (ইকনা): সাম্প্রতিক ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করে আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিক্ষিপ্ত দাঙ্গাকে ইরানী জাতির মহান ও উদ্ভাবনী উন্নয়ন ও আন্দোলনের বিরুদ্ধে শত্রুর একটি নিষ্ক্রিয় ও আনাড়ি নকশা বলে অভিহিত করে বলেছেন: যতদিন জাতি ইসলামী ব্যবস্থা ও ধর্মীয় মূল্যবোধের পথে থাকবে, ততদিন এই শত্রুতা চলতেই থাকবে এবং এর প্রতিকারের একমাত্র উপায় হল দণ্ডায়মান থাকা, এবং দেশের কর্মকর্তাদেরও সতর্ক থাকতে হবে যেন এ ধরনের বিষয়ে দেশি-বিদেশি অঙ্গনে তাদের মূল দায়িত্ব ও কর্তব্য থেকে তারা যেন বিরত না থাকে। 
বুধবার ইরানের নীতি নির্ধারণী পরিষদের নতুন প্রধান এবং নতুন সদস্যদের সাথে এক বৈঠকে সর্বোচ্চ নেতা বলেন: নীতি নির্ধারণী পরিষদটি ইসলামী প্রজাতন্ত্রের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিষদ।
 
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, যতদিন পর্যন্ত ইরানি জাতি ইসলামি ব্যবস্থা ও মূল্যবোধের পথে থাকবে ততদিন শত্রুতা অব্যাহত থাকবে। এর একমাত্র সমাধান হচ্ছে দৃঢ়তা। 
 
নীতি নির্ধারণী পরিষদকে তিনি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের মৌলিক দায়িত্ব রয়েছে। ইরানের সাম্প্রতিক সহিংসতা ও নৈরাজ্যের প্রতি ইঙ্গিত করে সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেন, দেশের কর্মকর্তাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে, এসব ঘটনার কারণে দেশে-বিদেশে তাদের মূল দায়িত্ব-কর্তব্য পালন যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়। 
 
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, সাম্প্রতিক গোলযোগে শত্রুদের হস্তক্ষেপের বিষয়টি এখন বিদেশের নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞদের কাছেও স্পষ্ট। যা ঘটেছে তা মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত কোনো বিষয় নয়। কিছু ইস্যুর প্রভাব এখানে থাকতে পারে, কিন্তু এসব ঘটনায় শত্রুদের অপপ্রচার, চিন্তা- মননের ওপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, উত্তেজনা সৃষ্টি, উসকানি প্রদান, এমনকি দাহ্য পদার্থ তৈরির নানা উপায় শেখানোর মতো নানা পদক্ষেপের প্রভাব এখন পুরোপুরি স্পষ্ট।
 
আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বিপ্লবের পর স্বল্প সময়ের মধ্যে ইরানি জাতির উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রশংসা করে বলেন, ইরানি জাতি স্বল্প সময়ের ব্যবধানে অনেক বড় বড় কাজ করেছে। এসব কাজ ছিল সাম্রাজ্যবাদীদের নীতির ১৮০ ডিগ্রি উল্টো। এ কারণে তারা বাধ্য হয়ে প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তারা এ লক্ষ্যে পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে, অর্থ-কড়ি ব্যয় করেছে এবং আমেরিকা ও ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে রাজনীতিবিদসহ কিছু ব্যক্তিকে ইরানের বিরুদ্ধে মাঠে নামিয়েছে। তবে ইরানি জাতির প্রতিরোধ ও দৃঢ়তা প্রমাণ করেছে এই জাতি স্বতঃস্ফূর্ত ও ধার্মিক। তারা ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী। একই সঙ্গে ইরানি জাতি এটাও তুলে ধরতে পেরেছে যে, দেশ সামনের দিকে ক্ষিপ্র গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে।
 
 
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, যতদিন পর্যন্ত ইরানি জাতি ইসলামের ঝাণ্ডা উড়াবে এবং ইসলামি শাসন ব্যবস্থার প্রতি সমর্থন জানাবে ততদিন পর্যন্ত নানা উপায়ে শয়তানি শক্তি শত্রুতা করে যাবে। তবে এটাও বলা যাবে না যে, ইসলামের পথে চলার কারণে শয়তানি শক্তির পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সমস্যা তৈরি হয়েছে। কারণ যারা ইসলামের পথে নেই তারাও অন্যভাবে শয়তানদের মাধ্যমে সমস্যার মধ্যে রয়েছে।
 
সর্বোচ্চ নেতা দৃঢ়ভাবে বলেন, শয়তানি শক্তির সৃষ্ট পরিকল্পনা ও সমস্যার কারণে আমাদের দৃঢ়তা ও প্রতিরোধ স্তব্ধ হবে না বরং এর ফলে আমাদের সামনের দিকে পথ চলার ক্ষেত্র প্রস্তুত হবে। 
 
আয়াতুল্লাহ খামেনেয়ী আরও বলেন, আমরা চূড়ান্ত বিজয়ের বিষয়ে আল্লাহর প্রতিশ্রুতিকে পরিপূর্ণভাবে বিশ্বাস করি এবং নিশ্চিতভাবেই ঐশী সাহায্য আমাদের সঙ্গে থাকবে।  4091328
captcha