IQNA

কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে ইমাম জাফর সাদিক (আ.)-এর পদ্ধতি

5:10 - May 31, 2022
সংবাদ: 3471930
তেহরান (ইকনা): ইমাম জাফর সাদিক (আ.)পবিত্র কুরআনের তাফসিরের ক্ষেত্রে বিশ্লেষণ, যুক্তি ও ইজতিহাদের উপর ভিত্তি করে করেছেন। 
প্রকৃতপক্ষে, তিনি মোয়ারেফে কুরআনের তালিকা করেননি, তবে সেগুলিকে তিনি তাঁর ছাত্রদের বিশ্লেষণের জন্য তুলে ধরেছেন এবং তাদের শিখিয়েছেন কীভাবে কুরআনকে গভীরভাবে অনুসন্ধান করতে হয় এবং এর গভীরতা থেকে উপকৃত হতে হয়।
 
ইমাম জাফর সাদিক (আ.) কুরআনের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, তিনি বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন এবং এসকল পদ্ধতির প্রতিটি বিভাগে প্রয়োজনীয় এবং উপযুক্ত। তিনি ১৪৮ হিজরিতে (৭৬৫ খ্রিস্টাব্দ) ২৫শে শাওয়ালে শহীদ হন।
 
ইমাম সাদেগ (আ.)-এর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কাজ ছিল কুরআনের ব্যাখ্যা, আহকাম, রেওয়ায়ত এবং আয়াত বর্ণনা করা। এই কর্মগুলি একটি জ্ঞানভিত্তিক পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে শুরু হয়েছিল এবং অব্যাহত ছিল। তিনি পবিত্র কুরআন থেকে কুরআনের তাফসির করেছেন। কুরআন থেকে কুরআনের তাফসিরের অর্থ হচ্ছে পবিত্র কুরআনের প্রতিটি আয়াত অন্য আয়াতের উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করা।
 
তাঁর আরেকটি কৌশল ছিল নবী (সা.) এবং আহলে বাইত (আ.)-এর জীবনীর উপর ভিত্তি করে কুরআনের ব্যাখ্যা করা, যা ইমামদের জীবনী এবং তাদের থেকে প্রাপ্ত বর্ণনার ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছে। 
 
কোরানের ভাষাগত ও আভিধানিক ব্যাখ্যা ছিল তাঁর দ্বারা কুরআন তাফসির করার আরেকটি পদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে কোরআনের শব্দগুলো বিবেচনা করা হতো এবং সেগুলোর ওপর ভিত্তি করে কোরআনের তাফসির করা হতো।
 
তাতবীক পদ্ধতি ছিল কুরআনের ব্যাখ্যার জন্য ইমাম সাদেগ (আ.)-এর আরেকটি পদ্ধতি; এই পদ্ধতির অর্থ হল একটি পদকে বিভিন্ন ঘটনা, জাতি এবং স্রোতের সাথে মানিয়ে নেওয়া।
 
পবিত্র কুরআনের আয়াতের শানে নুযুল এবং আসবাবে নুযুলের উপর ভিত্তি করে তিনি পবিত্র কুরআনের তাফসির করেছেন। উপরন্তু, কিছু আয়াত উল্লেখ করে, তারা ভবিষ্যতের খবর নিয়েও কাজ করেছেন তিনি।
 
ইকনা নিউজ এজেন্সিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক মোহাম্মাদ রেজা মোহাম্মাদপায়ামের বক্তব্য থেক সংগৃহীত

 

captcha