কোলিভিলে পুলিশ প্রধান মাইকেল মিলার সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, তাদের উদ্ধারকারী টিম শনিবার রাতে সিনাগগের ভিতরে প্রবেশ করে। এ সময় তার ভিতর আটকে রাখা তিন জিম্মিকে উদ্ধার করে। এর কয়েক ঘন্টা আগে প্রথম জিম্মিকে তারা উদ্ধার করেছে। তবে সন্দেহজনক একজন নিহত হয়েছে।
ডালাসে এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট ম্যাট ডিসারনো বলেছেন, চার জিম্মির মধ্যে ছিলেন স্থানীয় পর্যায়ে সবার প্রিয় রাবি চার্লি কাইট্রোন-ওয়াকার। তবে তাদের কারো জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন নেই। সহসাই তারা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে মিলিত হতে পারবেন। সন্দেহজনক ব্যক্তি তাদের কোনো ক্ষতি করেনি।
এই সংবাদ সম্মেলনের অল্প আগেই ওই সিগাগগের ভিতর বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা। টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট ঘোষণা দিয়েছেন, বাকি সব জিম্মিকে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে নয়টায় নিরাপদে, জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে ডালাস থেকে ২৫ মাইল পশ্চিমে কোলিভিলেতে অবস্থিত কংগ্রেগেশন বেথ ইসরাইলে জরুরি অবস্থা দেয়া হয়। ১০ ঘন্টারও বেশি সময় পরে সেখানে জিম্মি দশার অবসান হয়।
এবিসি নিউজ খবর প্রকাশ করেছে যে, জিম্মিকারী ছিল সশস্ত্র। অজ্ঞাত স্থানে সে বোমা পেতে রেখেছে বলে সতর্ক করেছে। তবে তার এ ঘোষণার সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে এই রিপোর্টে বলা হয়, ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি ড. আফিয়া সিদ্দিকীর মুক্তি দাবি করেছে। আল কায়েদার সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণে ড. আফিয়া সিদ্দিকী বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে জেল খাটছেন। তার মুক্তি দাবি করে এভাবে ইহুদিদের জিম্মি করার বিরুদ্ধে সতর্কতা দিয়েছেন আফিয়ার আইনজীবীরা। তারা জিম্মি দশার অবসান দাবি করেছেন। বলেছেন, এ কর্মকাণ্ডের ফলে আফিয়ার মুক্তি বিঘ্নিত হবে। তবে সন্দেহজনক ওই জিম্মিকারীর দাবি সম্পর্কে নিশ্চিত নন এফবিআইয়ের স্পেশাল এজেন্ট। প্রথমদিকে এবিসির রিপোর্টে বলা হয়েছিল, জিম্মিকারী ব্যক্তি হলেন আফিয়া সিদ্দিকীর ভাই। পরে তারা পরিষ্কার করে বিষয়টি। বলা হয়, আফিয়ার ভাই বসবাস করেন হাউজটনে।
সিএনএনের কাছে একটি বিবৃতি দিয়েছে আফিয়া সিদ্দিকীর আইনজীবী। তাতে তিনি দাবি করেছেন, এ জিম্মি ঘটনার সঙ্গে মোটেও জড়িত নন আফিয়া। জিম্মিকারী ব্যক্তি তার ভাইও নন। তার এমন কর্মের নিন্দা জানিয়েছেন আফিয়া। iqna