১১ আগস্ট বিকেলে উপজেলার গ্রিদান টেংগা জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে বিজয়ী শিশুদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল তুলে দেন মসজিদ কমিটির সদস্যরা। গ্রামের শিশুরা যাতে মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয়, নামাজের গুরুত্ব সম্পর্কে জানতে পারে এবং আল্লাহর একত্ববাদ ও সমাজে পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ববোধ প্রতিষ্ঠা করতে পারে—এসব লক্ষ্য সামনে রেখে গ্রিদান টেংগা গ্রামের মাওলানা আব্দুল লতিফ (রহ.)-এর কাতারপ্রবাসী সন্তান মাওলানা মাহমুদুল হাসানের উদ্যোগে মাওলানা আব্দুল লতিফ (রহ.) ফাউন্ডেশন এই ব্যতিক্রমধর্মী প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। সহযোগী উদ্যোক্তা হিসেবে ছিলেন মাওলানা মাহমুদুল হাসানের আরো দুই ভাই কাতারপ্রবাসী মাওলানা এনামুল হাসান আরিফ ও মাওলানা নাজমুল হাসান তারিফ।
প্রতিযোগিতায় শর্ত ছিল ১২ থেকে ২৫ বছর বয়সী শিশু-কিশোরদের স্থানীয় গ্রিদান টেংগা জামে মসজিদে গিয়ে জামাতের সঙ্গে টানা ৪০ দিন ধারাবাহিকভাবে নামাজ আদায় করা এবং নামাজে বেশি প্রয়োজনীয় ১০টি সুরা বিশুদ্ধভাবে মুখস্থ করা।
পুরস্কার হিসেবে তাদের প্রত্যেককে একটি করে বাইসাইকেল প্রদান করা হবে। প্রতিযোগিতায় সাড়া দিয়ে প্রথম দিকে অন্তত ৪৫ জন শিশু-কিশোর নামাজ আদায় শুরু করে। চূড়ান্ত পর্যায়ে ২১ জন শিশু-কিশোর টিকে থেকে বিজয়ী হয়েছে।
স্থানীয় ও ঢাকা থেকে আগত গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। ব্যতিক্রমধর্মী এই আয়োজনের প্রধান উদ্যোক্তা মাওলানা মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বর্তমান আধুনিক যুগে বেশির ভাগ শিশু মোবাইল ফোন, টিভি ও ল্যাপটপের স্ক্রিনে নিজেকে সীমাবদ্ধ করে ফেলছে। শিশুদের মোবাইল আসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করায় বেশির ভাগ শিশুর মধ্যে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনে অনীহা সৃষ্টি হয়েছে। শিশুরা যাতে নিয়মিত মসজিদে যেতে অভ্যস্ত হয় সে জন্য আমরা এমন কর্মসূচি হাতে নেয়েছি।’