করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে মক্কার মসজিদুল হারাম ও মদিনার মসজিদে নববীতে রোজার সময়ও জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ থাকবে, সোমবার দুই মসজিদের কর্তৃপক্ষ টুইটারে এই ঘোষণা দিয়েছিল। তবে বুধবার এক বিবৃতিতে সৌদি বাদশাহ সালমান দুই প্রধান মসজিদে তারাবির অনুমতি দিয়েছ। তারাবি অনুষ্ঠিত হলেও ওমরাহ বন্ধ থাকবে।
বাদশাহ সালমান বি আব্দুল আজিজের অনুমতিতে দুই পবিত্র মসজিদের দরজা খুললেও বন্ধ থাকবে দেশের বাকি মসজিদগুলো।
২ মার্চ সৌদিতে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হন। তবে এর আগেই সংক্রমণ রোধে বিদেশীদের জন্য মক্কায় ওমরাহ বন্ধ ও মদিনায় মসজিদে নববীর প্রদর্শন বন্ধ করে দেয় এবং টুরিস্ট ভিসা স্থগিত রাখে সৌদি কর্তৃপক্ষ।
এরপর ১৭ মার্চ এক ঘোষণায় মক্কা ও মদিনার প্রধান দুই মসজিদ ছাড়া দেশের বাকি সব মসজিদে জামাতে নামাজ স্থগিত করে নির্দেশ জারি করে সৌদি কর্তৃপক্ষ। পরে এ দুটি মসজিদেও জামাতে নামাজ আদায় বন্ধ করে দেয়া হয়।
২৩ মার্চ সৌদি আরব জুড়ে (স্থানীয় সময়) সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত ২১ দিনের কারফিউ জারি করে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরে এর মেয়াদ অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ায় তারা। ২ এপ্রিল মক্কা ও মদিনায় ২৪ ঘণ্টার কারফিউ জারি করে পরদিন শুক্রবার জুমার নামাজ বন্ধ করে দেয় সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এদিকে, গতকাল ২১শে এপ্রিল সৌদি আরবের বিভিন্ন শহর ও অঞ্চলে নতুন আইন কার্যকর করা হয়েছে, এই আইনের মাধ্যমে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দেশটির জনগণ কেবলমাত্র জরুরী ও প্রাথমিক প্রয়োজন মেটানোর জন্য রাস্তায় যাতায়াত করাতে পারবেন।
এই আইনে এটা উল্লেখ করা হয়েছে যে, সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টার মধ্যে সকল প্রকার চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে সৌদি বাদশাহর এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে এই আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। iqna