বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মহানবী (সা.)-এর নিকট থেকে ইমাম হুসাইন (আ.)-এর মর্যাদা সম্পর্কে অনেক হাদিস বর্ণিত হয়েছে। এ সব হাদিসের মধ্য থেকে প্রসিদ্ধ দু’টি হাদিস এখানে উল্লেখ করা হলো। মহানবী (সা.) বলেছেন: اَلْحَسَنُ وَ الْحُسَيْنُ سَيِّدَا شَبَابِ أَهْلَ الْجَنَّةِ
হাসান ও হুসাইন বেহেশতের যুবকদের নেতা।
মহানবী (সা.) আরো বলেছেন: إِنَّ الْحُسَيْنَ مِصْبَاحُ الْهُدَى وَ سَفِيْنَةُ النَّجَاةِ
নিশ্চয়ই হুসাইন হেদায়েতের প্রদীপ ও মুক্তির তরণী।
ইমাম হুসাইন (আ.) বলেছেন: وَ عَلَى الْإِسْلَامِ السَّلَامُ إِذْ قَدْ بُلِيَتِ الْأُمَّة بِرَعٍ مِثْلِ يَزِيْدِ
ইয়াজিদের মতো লোক যদি উম্মতের রক্ষক হয় তা হলে এখানেই ইসলামের পরিসমাপ্তি।
শাসক হিসাবে এমন লোকের অস্তিত্বই ইসলামকে মিটিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল। সে ইসলামের মধ্যে ইসলামবিরোধী বিষয় অনুপ্রবেশ করানোর চেষ্টা করছিল, সে ইসলামকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা করছিল। তাই বাইয়াতের জন্য চাপ দেয়া হোক বা না হোক ইমাম হুসাইন আন্দোলন করতেন। তবে, বাইয়াতের চাপ তাঁর আন্দোলনকে গতিশীল করে।
ইমাম মাহদীর আন্দোলনও অন্যায় ও অত্যাচার নির্মূল করার আন্দোলন। ইমাম হুসাইন যেভাবে স্বৈরাচারী ইয়াজিদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়ে ছিলেন। ইমাম মাহদীও(আ.) শেষ জামানার সকল অত্যাচারী ইয়াজিদদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন এবং সকল জুলুম অন্যায়ের অবসান ঘটিয়ে ন্যায়নীতি প্রতিষ্ঠা করবেন। শাবিস্তান