বার্তা সংস্থা ইকনা: ৫ বছর আগে মিন্দানাওয়ে মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট-এমআইএলএফের সঙ্গে শান্তি চুক্তি করে তৎকালীন ফিলিপাইনের সরকার। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় সশস্ত্র গোষ্ঠী মনে করা হয় এমআইএলএফকে। স্বাধীনতার দাবিতে, মিন্দানাওয়ে তাদের তৎপরতায় চার দশকে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দেড় লাখ মানুষ।
শান্তি চুক্তির আলোকে, ২০১৮ সালে 'বাঙসামোরো অর্গানিক ল' নামে একটি বিল পাস হয় ফিলিপাইনের পার্লামেন্টে। এ বিলের পক্ষে-বিপক্ষেই এ গণভোট।
মিন্দানাওয়ে স্বায়ত্তশাসনে সমর্থন রয়েছে খ্রিষ্টানদেরও। বলা হচ্ছে, হ্যা ভোট জয়ী হলে নিজস্ব পার্লামেন্ট পাবে বোরো জনগন। থাকবে বাজেট প্রনয়ণের ক্ষমতা এবং নিজস্ব পুলিশ বাহিনীও।
আমাদের বিশ্বাস এ গণভোট জনজীবনে শান্তি বয়ে আনবে। দশকের পর দশক যে সংঘাতময় অভিজ্ঞতার সম্মুখিন হয়েছি তার সমাধান এ ভোট। সেজন্যই 'হ্যা' ভোট দিয়েছি।
মিন্দানাওয়ের শিক্ষক গেহারিয়ারিয়াহ দারোনিবাঙ জানান, যেহেতু আমাদের ধর্ম শান্তির কথা বলে আশা করছি এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরবে এবং মারাবির নিজ পিতৃভিটায় ফিরতে পারবো।
দক্ষিণ কোরিয়ার সমান আয়তন বিশিষ্ট মিন্দানাও ফিলিপাইনের সবচেয়ে অনুন্নত এলাকা। যদিও এখানে রয়েছে নিকেলের খনি।
শান্তি ও উন্নয়নের পক্ষে 'হ্যা' ভোটে অংশ নিতে স্থানীয় জনগনকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট দুতার্তে এবং এমআইএলএফ।
মোরো ইসলামিক লিবারেশন ফ্রন্ট নেতা মোহাকার ইকবাল বলেন, আমাদের প্রধান কাজই হলো মানুষের চাওয়া পাওয়ার সমন্বয় বজায় রাখা, আমরা যা অর্জন করেছি তা আমরা ভবিষ্যত প্রজন্মের কাছে হস্তান্তর করতে পারব।
২০১৪ সালের চুক্তি অনুযায়ী, বাঙসোমারো সরকার সংগৃহিত করের ৭৫ শতাংশ নেবে, ধাতব খনিজ পদার্থ থেকে আয়ের ৭৫ শতাংশ পাবে এবং মৎস্য অঞ্চলের কিছু এলাকা নিয়ন্ত্রণ করবে। iqna