বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: প্রতিশ্রুতি আল্লাহর সঙ্গে হোক বা তার বান্দাদের সঙ্গে হোক- প্রত্যেক মুমিন ব্যক্তিকে তা পালন করতে হবে। কেউ কোনো মানত করলে আকাঙ্ক্ষা পূরণ হলেই মানত পূর্ণ করতে হবে। অর্থনৈতিক বা সামাজিক ক্ষেত্রেও কাউকে কোনো বিষয়ে প্রতিশ্রুতি দিলে তা পালন করতে হবে। বিনা কারণে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করা যাবে না। সেইসঙ্গে অযথা আল্লাহর নামে শপথ করা যাবে না। আর কোনো কারণে যদি শপথ করতেই হয়, তাহলে অবশ্যই তা পালন করতে হবে। শপথ ভঙ্গ করে আল্লাহর নামের মাহাত্ম ও দ্বীনের পবিত্রতা নষ্ট করা যাবে না।
এ আয়াতে আল্লাহ আরো বলেছেন, যদি ক্ষমতার অধিকারই হও, তাহলে তোমার অধীনস্থ ব্যক্তি, সমাজের দুর্বল ও ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর প্রতি জুলুম কর না। তাদেরকে অধিকার বঞ্চিত কর না। কারণ এসব আচরণ সুস্পষ্ট জুলুম ও অত্যাচারের সমতুল্য। অবশ্য সামাজিক জীবনেও আল্লাহর সঙ্গে প্রতিশ্রুতি পালনের সুস্পষ্ট উদাহরণ রয়েছে। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হল ধর্মীয় নেতা এবং আল্লাহর ওলীদের অনুসরণ করা। আল্লাহ-তায়ালা ধর্মীয় নেতাদেরকে পৃথিবীতে নিজের প্রতিনিধি হিসেবে মনোনয়ন দিয়েছেন।
ওয়াদা ভঙ্গ করা শুধু অনৈতিক কাজ নয়, বরং কেয়ামতের দিন ওয়াদা ভঙ্গকারীকে আল্লাহর কঠিন শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে।
পথভ্রষ্টটা ও ওয়াদা ভঙ্গের ক্ষেত্র সৃষ্টিকারী একটি উপাদান হলো ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া। ক্ষমতা হাতে পেলে আমাদেরকে আল্লাহর কাছে জবাবদিহিতার বিষয়টি মাথায় রাখতে হবে। কারণ, আল্লাহ মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য তাকে ক্ষমতা দিয়ে থাকেন।
মহান আল্লাহর প্রতি ওয়াদা পালন করার অর্থ হচ্ছে সঠিকভাবে তার ইবাদত বন্দেগী করা। ইমাম মাহদীর প্রতি ওয়াদা পালন করা হচ্ছে সঠিকভাবে তাকে চেনা ও তার আনুগত্য করা। আরেকটি হচ্ছে পরিবার ও সমাজের প্রতি যে ওয়াদা তা সঠিকভাবে পালন করা।