সিরিয়ার গৃহযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি বাস্তুচ্যূত হয়ে বর্তমানে একটি শরণার্থী ক্যাম্পে অবস্থান করছেন। মুহাম্মদ আল-নায়িস মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাঁর দৃষ্টিশক্তি হারান। তবে শৈশব থেকেই জ্ঞানার্জনে অদম্য। দৃষ্টি লোপ পাওয়া তার জ্ঞানার্জনে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে পারেনি। বরং তার জ্ঞানের বিস্তৃত পরিধির কারণে স্থানীয়রা নায়িসকে ‘পূর্ণাঙ্গ বিশ্বকোষ’ বলে থাকে। কেননা তিনি সাগর, মহাসাগর, নদী, রাজধানী, রাষ্ট্রপ্রধানদের নাম মুখস্থ রাখে।
এ ছাড়া তিনি মানবেতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধগুলো সম্পর্কে অগাধ জ্ঞান রাখেন। আল-নায়িস একটি ছোট রেডিও এবং অডিও রেকর্ডারের সাহায্যে বারবার তিলাওয়াত শুনে হেফজ সম্পন্ন করেছেন। রেডিওটি শৈশব থেকে তার সঙ্গী।
বৃদ্ধ নায়িসের জীবন অত্যন্ত সংকটে কেটেছে বলেই তিনি জানিয়েছেন। কেননা তিনি ২০ বছর বয়সে বিয়ে করেন এবং একাধিক সন্তান লাভ করেন।
তিনি মনে করেন, দৃষ্টি হারানোর চেয়ে ঘর হারানোর অনেক বেশি কষ্টের। কেননা প্রিয় মাতৃভূমির অলিগলি যা তিনি হৃদয়ের ক্যানভাসে লিখে রেখেছেন তা ছেড়ে একটি শরণার্থী শিবিরে একাকীত্বের কষ্ট অনুভব করেন।
নীচের ভিডিওটিতে সিরিয়ার এই বৃদ্ধের কষ্টকর জীবনের কিছু দৃশ্য তুলে ধরা হল: