বার্তা সংস্থা ইকনা: মালয়েশিয়ার মেরাং রাজ্যের এই সংসদ সদস্য বলেন, যখন নবী মুহাম্মদ(সা:) আল্লাহর বার্তা বাহক হিসেবে মনোনীত হন তখন তিনি একজন সৃষ্টিকর্তার মত আচরণ করেন নি এবং তিনি লোকজনদের তার দাসে পরিণত করেন নি একই সাথে তিনি রাষ্ট্রের সম্পদ কে নিজের সম্পদে পরিণত করেন নি।
আবদুল হাদি বলেন, ‘ইসলামের ইতিহাসে এমন অনেক উদাহরণ রয়েছে, যেখানে রাষ্ট্রের অধিপতি গণ, রাজা গণ, খলিফা গণ অথবা আমির গণ একচ্ছত্র ক্ষমতা ভোগ করেন নি এবং তারা নিজেদের কে আইনের ঊর্ধ্বে নিয়ে যান নি।’
বার্তা সংস্থা হারাখা অনলাইন কে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি আরো বলেন, ‘কোনো ব্যক্তি অথবা কোনো জনসমষ্টি আইনের ঊর্ধ্বে ইসলাম এমন ধারণাকে প্রত্যাখ্যান করে।’
যদিও ‘PAS’ প্রেসিডেন্ট সুনির্দিষ্ট ভাবে কারো নাম উল্লেখ করেন নি কিন্তু তিনি এসব কথা বলে মূলত দেশটির পুর্তাজয় রাজ্য এবং সেখানকার শাসকদের বিভিন্ন ইস্যুতে নাক গলানোর বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
তিনি বলেন, যদি কোনো শাসক ধার্মিক না হন তবে আইনের শাসন তখন ফাঁকা বুলি ছাড়া আর কিছুই নয়।
আবদুল হাদি বলেন, ‘কিছু শাসক এমন রয়েছেন যে, যারা ধর্মের অপ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন শাসক গণ আল্লাহ তায়ালার ছায়া যারা লোকজনদের আল্লার ছায়ার মাধ্যমে রক্ষা করবেন।’
তিনি বলেন, ‘এমনকি কিছু লোক সৃষ্টিকর্তার মত আচরণ করেন। এসব বুলি ফাঁকা বার্তা ছাড়া আর কিছুই নয় যদি সে ব্যক্তি ধার্মিক এবং বিনয়ী না হন।’
তিনি বলেন, ‘রাজতন্ত্র’, ‘প্রজাতন্ত্র’, ‘গণতন্ত্র’ ইত্যাদি শব্দ সমূহ কে ইসলাম নিষিদ্ধ ও করেনি অনুমতি ও দেয়নি। তথাপি তিনি ন্যায় বিচার এবং নিষ্ঠুরতার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার আদর্শে বিশ্বাসী বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘নাম বা পদবী ইত্যাদির ভিত্তিতে যারা শাসন করছেন তাদের সবাইকে মহান আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে হিসাব দিতে হবে।’ সূত্র: মালায়সিয়াকিনি ডট কম।