বার্তা সংস্থা ইকনা :সোমবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে মিয়ানমারের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যম ইরাওয়াদ্দি জানায়, সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি একথা বলেন।
ইউ জ হতে বলেন, আইএস প্রধানত স্থানীয়দেরকে ব্যবহার করে। যেসব সন্ত্রাসী বাইরে থেকে প্রবেশ করে, তারা দেশের ভেতরের মৌলবাদীদের সহযোগিতায় কাজ করে থাকে। শ্রীলঙ্কায় হামলার ক্ষেত্রে এমনটিই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া বেশ কয়েকবার আমাদেরকে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে সতর্ক করেছে। তাই আমাদের উচিত সন্ত্রাসবাদ বিরোধী পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান মোহামাদ ফুজি হারুনও দাবি করেছেন, আইএস সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষিণ ফিলিপিন্স এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের দিকে দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে।
আইএস ইস্টার সানডের দিন শ্রীলঙ্কার তিনটি চার্চ, চারটি হোটেল এবং একটি চিড়িয়াখানায় বোমা হামলার দায় স্বীকার করার পর মালয়েশিয়ার পুলিশ প্রধান এই মন্তব্য করেন।
রাখাইন বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ইউ মং মং সোয়ে গণমাধ্যমটিকে বলেন, ২০১৭ সালে বিদ্রোহ দমন অভিযানের পর উত্তর রাখাইন থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে অনেক শরণার্থী তরুণ। তাদেরকে কাজে লাগানো খুবই সহজ হবে আইএস চরমপন্থিদের জন্য।
তিনি বলেন, শ্রীলঙ্কার মতো মিয়ানমারে হামলা করতে এসব তরুণদেরকে ব্যবহার করতে পারে আইএস। সিরিয়ার মতো এখানে অধিকার প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে তারা হামলা করতে পারে। এমটিনিউজ২৪