IQNA

ইমাম মাহদীর(আ.) দীর্ঘায়ুর দলিল

20:46 - January 30, 2019
সংবাদ: 2607825
ইমাম মাহদী(আ.) ইমাম হাসান আসকারী(আ.)-এর সন্তান তিনি ২৫৫ হিজরিতে ইরাকের সামেররা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তারা মাতার নাম নার্জিস খাতুন। বর্তমানে তিনি অন্তর্ধানের রয়েছেন এবং তিনি শেষ জামানায় আবির্ভূত হয়ে গোটা বিশ্বকে ন্যায়নীতিতে পরিপূর্ণ করবেন।

বার্তা সংস্থা ইকনা: ইমাম মাহদীর জীবিত থাকর প্রথম দলিল হচ্ছে দুনিয়া হুজ্জাত বা আল্লাহর নির্ধারিত ইমাম ছাড়া চলতে বা টিকে থাকতে পারে না। নবীদের মত ইমামগণও হচ্ছে আল্লাহর লুতফ বা দয়া যা কিয়ামত পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।

বর্তমানে আল্লাহর একমাত্র রহমতের মাধ্যম হচ্ছেন ইমাম মাহদী(আ.) যার মাধ্যমে মানুষের উপর খোদার রহমত ও বরকত বর্ষিত হয়। সুতরাং তিনি জীবিত আছেন এবং তার মাধ্যমেই মানুষ বেচে আছে।

এ সম্পর্কে ইমাম সাদিক(আ.) বলেছেন: আল্লাহ অনেক মহান সুতরাং তিনি পৃথিবীকে নিজের হুজ্জাত বা দলিল ছাড়া রাখতে পারে না। সুতরাং ইমাম মাহদী রয়েছেন এবং তার মাধ্যমে আল্লাহর সবাইকে তার পক্ষ থেকে বরকত দান করছেন।

ইমাম মাহদী হচ্ছেন আল্লাহর পক্ষ থেকে ইসলামের রক্ষক, যোগ্য ও মুত্তাকী মানুষ গঠনকারী আর তিনি হচ্ছে সকল মুত্তাকী পরহেজগার মানুষের জন্য আদর্শ। সুতরাং তিনি জীবিত না থাকলে মানুষ কিভাবে এবং কোথা থেকে এগুলো অর্জন করবে।

হযরত আসকারী (আ.) তার সন্তান ইমাম মাহদীর জন্মের পর তার ঘনিষ্ঠ জনদের একজনকে কিছু পরিমাণ মাংস ও রুটি কিনে সামেরা শহরের গরীব দুখীদের মাঝে বণ্টন করার নির্দেশ দিলেন। অনুরূপ ভাবে সত্তরটি দুম্বা আকিকা করলেন।

এই মহামানবের জন্ম নবী পরিবারের অনুসারীদের সকল কেন্দ্রকে আনন্দ উৎসবে ভরিয়ে তুলল। সমাজের নেতৃস্থানীয় সকল ব্যক্তিরা দলে দলে ইমাম আসকারী (আ.) এর খেদমতে আসতে লাগলেন এবং ইমামকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানালেন।

বার্নার্ড শাও বলেছেন: জীববিদ্যার সকল বৈজ্ঞানিকদের মতে মানুষের আয়ূ এমন একটি জিনিস যার কোন সীমা নির্ণয় করা সম্ভব নয়৷এমনকি দীর্ঘকাল জীবন-যাপনেরও কোন সীমানা নেই (ইমাম জামানা (আ.)-এর দীর্ঘায়ুর রহস্য,আলী আকবার মাহদী পুর পৃ.-১৩)৷

প্রফেসর আতিনগার বলেছেন: আমার দৃষ্টিতে প্রযুক্তি উন্নয়নে আমরা যে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচিছ তাতে একবিংশ শতাব্দীর মানুষ সহস্র বছর বেঁচে থাকতে সক্ষম হবে (মাজাল্লেহ দানেশমানদ৷ ষষ্ট বছর ষষ্ট সংখ্যা পৃ.-১৪৭)৷

পবিত্র কোরআনে এমন আয়াত রয়েছে যাতে শুধুমাত্র দীর্ঘায়ু নয় বরং অনন্ত জীবনের সংবাদ দেওয়া হচেছ৷ আয়াতটি হযরত ইউনুস সম্পর্কে, তাতে বলা হয়েছে:

যদি সে (ইউনুস) মাছের উদরে তসবীহ না পড়ত (আল্লাহর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা না করত) তাহলে তাকে কিয়ামত পর্যন্ত মাছের উদরে থাকতে হত (সূরা সাফ্ফাত আয়াত ১৪৪)৷

সুতরাং আয়াতে অতি দীর্ঘায়ু (হযরত ইউনুসের সময় থেকে কিয়ামত পর্যন্ত) প্রাণীবিদরা যাকে অনন্ত আয়ু বলে থাকেন কোরআনের দৃষ্টিতে মাছ ও মানুষের জন্য তা সম্ভবপর বিবেচিত হয়েছে (সৌভাগ্যের ব্যাপার হল মাদাগাস্কারের সৈকতে ৪০০ মিলিয়ন বছরের মাছ পাওয়া যাওয়াতে মাছের জন্য এত দীর্ঘ আয়ু সম্ভপর করেছে৷ কাইহান সংখ্যা ৬৪১৩, তাং ২২-৮-১৩৪৩ ফার্সী শতাব্দী)৷

পবিত্র কুরআনের আয়াতে হযরত নূহের নবুয়তের বয়সকে ৯৫০ বছর বোঝানো হয়েছে (তার গড় আয়ু সম্পর্কে বলা হয়নি)৷হাদীসের আলোকে তিনি ২৪৫০ বছর বেঁচে ছিলেন (কামালুদ্ দ্বীন খণ্ড- ২, বাব ৪৬,হাদীস৩, পৃষ্ঠা ৩০৯)৷

 

captcha