বার্তা সংস্থা ইকনা: চাভুসওগ্লু শনিবার লন্ডন সফরে গিয়ে বলেন, “আমরা এখনো এ বিষয়ে সৌদি আরবের সহযোগিতা পাইনি। তবে আমরা সে সহযোগিতা দেখতে চাই।”তিনি বলেন, তুর্কি কর্মকর্তারা যাতে ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করে তদন্ত কাজ চালাতে পারেন সৌদি আরবকে সে ব্যবস্থা করতে হবে।
তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খাশোগি’র নিখোঁজ হওয়ার বিষয়ে তদন্ত করার জন্য যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠন করতে নীতিগত ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিল তুরস্ক ও রিয়াদ। কিন্তু সৌদি আরব এখন আর সহযোগিতা করছে না বলে তিনি অভিযোগ করেন।
যৌথ তদন্তের লক্ষ্যে সিনিয়র প্রিন্স খালেদ আল-ফয়সালের নেতৃত্বে সৌদি আরবের একটি প্রতিনিধিদল তুরস্ক সফরে যাওয়ার দু’দিন পর চাভুসওগ্লু এসব অভিযোগ করলেন। জামাল খাশোগির নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার ঘটনায় নিজের জড়িত না থাকার পক্ষে সৌদি আরব কোনো প্রমাণ দিতে ব্যর্থ হওয়ায় রিয়াদের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছে।
সৌদি রাজতন্ত্রের বিরোধী সাংবাদিক খাশোগির বিরুদ্ধে দেশে গ্রেফতারি পরোয়ানা থাকায় তিনি স্বেচ্ছা নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছিলেন। গত ২ অক্টোবর তিনি তার তুর্কি হবুবধুকে সৌদি কনস্যুলেটের বাইরে রেখে আসন্ন বিয়ের কাগজপত্র ঠিক করতে ওই কূটনৈতিক মিশনে প্রবেশ করেন। কিন্তু এরপর আর তিনি ওই ভবন থেকে বের হননি।
সৌদি সরকার দাবি করছে, খাশোগি কনস্যুলেট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর হয়ত অপহৃত হয়েছেন। কিন্তু তুর্কি গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেছেন, খাশোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। তাদের এ দাবির স্বপক্ষে অডিও এবং ভিডিও প্রমাণ থাকার কথাও জানিয়েছেন তুর্কি তদন্ত কর্মকর্তারা।