IQNA

গবেষক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষিকা:

আমেরিকান বিচার মঞ্চ; ইসলামী প্রতিরোধের বিরুদ্ধে ব্যবহারিক নীতিগুলোর তত্ত্ব

22:44 - July 07, 2020
সংবাদ: 2611098
তেহরান (ইকনা): "আমেরিকান চিন্তাধারায় পলিটিকাল ইসলামোফোবিয়া" বইয়ের লেখিকা “হাকিমা সাক্বায়ে বিরিয়া” বলেছেন, ইসলামী বিশ্ব ও ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রতি মার্কিন সরকারের নীতিতে এই বিচার মঞ্চের ভূমিকা অত্যন্ত কার্যকর এবং গুরুত্বপূর্ণ।

তেহরান বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস, সভ্যতা ও ইসলামী বিপ্লব বিভাগ, ইসলামী স্টাডিজ ও চিন্তা বিভাগের প্রভাষিকা "হাকিমা সাক্বায়ে বিরিয়া"র রচিত "আমেরিকান চিন্তাধারায় পলিটিকাল ইসলামোফোবিয়া" (Political Islamophobia at American Institutes: Battling the Power of Islamic Resistance) বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অধিবেশন ৬ই জুলাই বার্তা সংস্থা ইকনার হেড অফিসে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একটি বিশ্লেষণাত্মক এবং মূল্যবান কাজ

লন্ডনে ইসলামিক মানবাধিকার কমিশন কর্তৃক সদ্য প্রকাশিত ২১০ পৃষ্ঠার বইটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেশীয় ও বৈদেশিক নীতিতে ইসলামফোবিয়ার প্রতিষ্ঠা ও সম্প্রসারণে আমেরিকান বিচার মঞ্চ বা থিংক ট্যাঙ্কের ভূমিকার বিশ্লেষণ করা হয়েছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানের ডেট্রয়েটের ওয়েইন স্টেট ইউনিভার্সিটির (Wayne State University) ওয়ার্ল্ড স্টাডিজের অধ্যাপক সাইদ খান এই বইটিকে আমেরিকান নীতি নির্ধারণে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী থিঙ্ক ট্যাঙ্কের ভূমিকার বিশ্লেষণকে দুর্দান্ত বলে বিবেচনা করেছিলেন।

এছাড়াও লন্ডনে ইসলামিক মানবাধিকার কমিশনের প্রধান মাসুদ শাজারা’ও মার্কিন নীতিতে ইসলামফোবিয়ার বৌদ্ধিক ও তাত্ত্বিক শিকড়কে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য এবং ইসলামিক প্রতিরোধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের পরিকল্পনা নিয়ে এই বইয়ের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন।

মাসুদ শাজারা এই বই সম্পর্কে বলেছেন: এই থিংক ট্যাঙ্কগুলির বংশবৃত্তিকে আমেরিকান রাজনৈতিক ও সরকারী কেন্দ্রগুলি সমর্থন করে, যার কার্যক্রম দিন দিন প্রসারিত হচ্ছে।

ইসলামী বিশ্বে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গি

এই বইয়ের রচয়িতা হাকিমা সাক্বায়া বিরিয়া বলেন: আমি আশা করি যে এই কাজটি আমেরিকার ইসলামের সাথে সম্পর্ক বিশেষত আদর্শ ও পরিকল্পনার স্তরে বুঝতে সহায়তা করবে। ইসলামফোবিয়ার বিষয়টি নতুন বিষয় নয়। উপনিবেশিক আমল থেকেই আমরা দুই ধরণের সম্পর্ক দেখেছি।প্রথমত, ইসলামিক দেশগুলোর বিরুদ্ধে শারীরিক সহিংসতা এবং আমাদের দেশ পরোক্ষভাবে একটি গোপন উপনিবেশে পরিণত হয়েছে।

ইসলামী বিশ্বে পশ্চিমাদের দ্বিতীয় পন্থা হচ্ছে, উপনিবেশিক সম্পর্কের শুরু থেকেই পশ্চিমাদের ইসলামের উপর চাপিয়ে দেওয়া সাংস্কৃতিক ও আদর্শিক সহিংসতা। সময়ের সাথে এই ধরণের সহিংসতা বদলেছে। যখন সাম্প্রদায়িকতা ঘটতে থাকল এবং কখনও কখনও এটি ফ্রিম্যাসোনিক উপায়ে নিজেকে প্রকাশ করে এবং এখন আমরা সাংস্কৃতিক সহিংসতার এক নতুন রূপের মুখোমুখি অবস্থান করছি। আমেরিকান থিঙ্ক ট্যাংকরা খুব নিয়মতান্ত্রিক ও পরিকল্পিতভাবে ভাবেন যে ইসলামী বিশ্বের সাথে আমাদের কী করা উচিত?

হাকিমা সাক্বায়া আরও বলেন: ইসলামী বিশ্বের বৌদ্ধিক নেতৃত্ব ইরান ইসলামী প্রজাতন্ত্রের হাতে এবং ইসলামী বিপ্লবের সূচনা ইমাম খোমেনি (রহ,)-এর নেতৃত্বে হয়েছে এবং বর্তমানে সুপ্রিম নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনায়ীর পরিচালনায় আমরা বিশ্বে ইসলামী প্রতিরোধ আন্দোলনের প্রভাব প্রত্যক্ষ করছি।

হাকিমা সাক্বায়া পশ্চিমে ইসলামফোবিয়ার সমস্যার সমাধানের দিকে মনোনিবেশ করে বইয়ের দ্বিতীয় খণ্ডটি লেখার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। iqna

captcha