IQNA

পারস্য উপসাগরীয় কিছু দেশের উদ্দেশ্যে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র

আমেরিকাকে অনুসরণ করে অঞ্চলের নিরাপত্তা অর্জন করা সম্ভব না

19:15 - June 30, 2020
সংবাদ: 2611053
তেহরান (ইকনা): পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে বেরিয়ে যাবার পর আমেরিকা ইরানের ওপর সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি বাস্তবায়ন করে আসছে।

তারই অংশ হিসেবে মার্কিন কর্মকর্তারা নিরাপত্তা পরিষদে একটি খসড়া প্রস্তাব পেশ করেছে যা গৃহীত হলে ইরানের ওপর অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্ট কালের জন্য নবায়ন হবে। পার্সটুডে

নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী ইরানের ওপর থেকে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা চলতি বছরের ১৮ অক্টোবর উঠে যাবার কথা ছিল। সমঝোতা অনুযায়ী ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত রাখার যে-কোনো পদক্ষেপ হবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের বিরোধী। সুতরাং নিষেধাজ্ঞা নবায়নের যে-কোনো পরিণতির জন্য ইউরোপ এবং আমেরিকাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাইয়্যেদ আব্বাস মুসাভি গতকাল সাংবাদিকদের দেওয়া সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বলেছেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্রের প্রতিরক্ষা সক্ষমতা সম্পর্কে কারো সঙ্গেই কোনোরকম আপোষ নেই।

ইরান এখন গর্বিত যে প্রতিরক্ষার প্রয়োজনীয় সকল সামরিক সরঞ্জাম বাইরের কোনো সাহায্য ছাড়া দেশের অভ্যন্তরেই তৈরি হচ্ছে। ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নসহ ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ইরানের প্রতিরক্ষা সক্ষমতার একটি নমুনামাত্র। ইরান অস্ত্র কেনাসহ প্রতিরক্ষা ও সামরিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে কোনো দেশের অনুমতির তোয়াক্কা করবে না বলেও মন্তব্য করেন জনাব মুসাভি। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্রের বক্তব্যে এ বিষয়ে সুস্পষ্ট বার্তা রয়েছে।

অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়নের সম্ভাব্যতায় তেহরানের প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে তিনি বলেন: তেহরান অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেওয়ার মতো বিশেষ কিছু পদক্ষেপ নিয়ে রেখেছে। তবে তেহরান মনে করে এতোটুকু বিবেকবোধ অবশ্যই থাকা দরকার যাতে সেইসব পদক্ষেপ নিতে না হয়।

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জাওয়াদ জারিফ আজ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন সম্পর্কে বক্তব্য রাখবেন। পরমাণু সমঝোতা অনুযায়ী আমেরিকার পক্ষ থেকে উত্থাপিত খসড়া পাস করা নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। ওই প্রস্তাব পাস করার জন্য নিরাপত্তা পরিষদের ১৫ সদস্যের মধ্যে ৯ সদস্যের রায় প্রয়োজন। সেইসঙ্গে পাঁচ স্থায়ী সদস্যের কেউ ভেটো অধিকার প্রয়োগ করলে হবে না। এরইমধ্যে আমেরিকা ছাড়া বাকি চার স্থায়ী সদস্য ব্রিটেন, রাশিয়া, ফ্রান্স এবং চীন মার্কিন ওই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তাদের অবস্থান ঘোষণা করেছে।

জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা স্থায়ী প্রতিনিধি এরইমধ্যে বলেছে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতা থেকে বেরিয়ে গিয়ে ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবকে পদতলে পিষ্ট করেছে। ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা নবায়ন নিয়ে কথা বলার বিন্দুমাত্র অধিকার তাদের নেই। রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও একইরকম দাবি করেছে। স্বয়ং আমেরিকারই অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন পম্পেও যদি ইরানের বিরুদ্ধে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে অগ্রসর হলে পরমাণু সমঝোতা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। iqna

captcha