IQNA

ইরাক ও লেবাননে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা: ইরানের সর্বোচ্চ নেতা

7:14 - October 31, 2019
সংবাদ: 2609542
আন্তর্জতিক ডেস্ক: ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট কিছু প্রতিক্রিয়াশীল আঞ্চলিক রাষ্ট্রের অর্থায়নে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও পাশ্চাত্যের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো কয়েকটি দেশে অস্থিতিশীলতা ও অনিরাপত্তা উসকে দিচ্ছে। এ অবস্থায় সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।

ইরাক ও লেবাননে উত্তেজনা উসকে দিচ্ছে পশ্চিমারা: ইরানের সর্বোচ্চ নেতাবার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: তিনি গতকাল(বুবধার) তেহরানে খাতামুল আম্বিয়া এয়ার ডিফেন্স অ্যাকাডেমিতে শিক্ষা সমাপনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সর্বোচ্চ নেতা আরও বলেছেন, জাতীয় নিরাপত্তা হরণ হচ্ছে যেকোনো দেশের জন্য সবচেয়ে বড় আঘাত। ইরাক ও লেবাবনে চলমান সহিংস বিক্ষোভের প্রতি ইঙ্গিত করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা এসব কথা বলেন। পার্সটুডে

আয়াতুল্লাহিল উজমা খামেনেয়ী বলেন, ইরাকি ও লেনাবনিদেরকে সতর্ক থাকতে হবে এবং বুঝতে হবে যে শত্রুরা তাদের ক্ষতি করতে চায়। আইনি কাঠামোর আওতায় নিজেদের ন্যায্য অধিকার আদায়ের চেষ্টা করতে ওই দুই দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান সর্বোচ্চ নেতা। তিনি বলেন, যারা ইরাক ও লেবাননের মঙ্গল কামনা করে তাদের প্রধান লক্ষ্য হওয়া উচিত নিরাপত্তাহীন পরিস্থিতির উত্তরণ ঘটানো।

তিনি আরও বলেন, শত্রুরা অতীতে ইরানের বিরুদ্ধেও একই ধরণের ষড়যন্ত্র করেছিল, কিন্তু ইরানি জনগণ ও সশস্ত্র বাহিনীর সতর্কতা ও প্রস্তুতির কারণে শত্রুদের ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেছে। এ সময় তিনি শত্রুদের সব ধরণের ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সব সময় সতর্ক থাকতে ইরানের জনগণ ও সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান।

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আজকের ভাষণে ভারত উপমহাদেশ, পূর্ব ও পশ্চিম এশিয়া এবং উত্তর ও মধ্য আফ্রিকায় ব্রিটিশ, ফরাসি ও মার্কিন সেনাবাহিনীর নানা অপরাধযজ্ঞের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ভিন্ন দেশে আগ্রাসন, লুটপাট ও আঘাত করাই হলো সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর সেনাবাহিনীর প্রধান দায়িত্ব। কিন্তু ইসলামি ইরানের সামরিক বাহিনীর নীতিতে প্রতিরক্ষার স্থান থাকলেও আগ্রাসনের কোনো স্থান নেই।  iqna

 

captcha