বার্তা সংস্থা ইকনা: দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান শহরের সিডেনহাম এলাকার একটি স্কুলের কর্তৃপক্ষে রোজাদার ছাত্রীদের হিজাব করতে নিষেধ করেছে। এর প্রতিবাদে ইসলামী সংস্থাসমূহ ও শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ তীব্র সমালোচনা করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকান মুসলিম নেটওয়ার্ক প্রধান (South African Muslim Network) “ইয়াসির মুহাম্মাদ এ ব্যাপারে বলেন: আমাদের সংস্থা এই স্কুলের লাইব্রেরি পুনর্নির্মাণ করে অনেক গ্রন্থ অনুদান করেছে। এছাড়াও স্কুলের সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য সবুজ বাগান প্রস্তুত করে দিয়েছে।
তিনি বলেন: এই সেবা শুধুমাত্র মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য নয়; বরং সকল শিক্ষার্থীদের জন্য করা হয়েছে। এই স্কুলের কর্তৃপক্ষের এমন সিদ্ধান্তের জন্য আমরা অত্যন্ত হতাশ হয়েছি।
এই নেটওয়ার্কের অপর এক কর্মকর্তা “ফয়সাল সুলাইমান” বলেন: আমাদের যেসকল সন্তানরা প্রথম বারের মতো রোজা রাখছে। অথচ তারা হিজাব পালন করতে পারছে না। এই বিষয়টি সত্যিই অনেক দুঃখজনক। মুসলিম নারীদের হিজাব পরিধান করা এক ধর্মীয় অনুগত্যের বিষয়।
ডারবান শহরের “কোয়াজুলু নাটাল” জামিয়াতুল ওলামা সংগঠনের আলেম মাওলানা “আব্দুল্লাহ খান” হিজাবের উপর গুরুত্বারোপ করে বলেন: ধর্মীয় স্বাধীনতা দক্ষিণ আফ্রিকার সংবিধানের অংশ। যখন শুনলাম এই স্কুলে ছাত্রীদের ওপর হিজাব নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, অনেক আশ্চর্য ও হতাশ হয়েছি।
গত সপ্তাহে স্কুল কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দিয়েছে, হিজাব ও টুপি তাদের স্কুল ড্রেসের অন্তর্ভুক্ত নয় এবং এখন থেকে এসকল ড্রেস পরিধান কেউ স্কুলে প্রবেশ করতে পারবে না। স্কুল কর্তৃপক্ষের এই ঘোষণার পর শিক্ষার্থীদের অভিভাবকগণ সামাজিক মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনা করেছেন।
এই স্কুলের এক অভিভাবক বলেছেন: স্কুল কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্ত মোটেও ন্যায়সঙ্গত নয়। আমি মনে করি স্কুল কর্তৃপক্ষ স্বার্থপর। এ ব্যাপারে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন রয়েছে। iqna