বার্তা সংস্থা ইকনা: পুলিশ জানায়, মোহাম্মদ আবু মারজুক (৩৯) তার স্ত্রী এবং তাদের চার ও ছয় বছর বয়সী দুই মেয়েকে নিয়ে মিসিসাগাতে একটি কমিউনিটি সেন্টারে পিকনিক অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফিরছিল। এসময় দুইজন পুরুষ তাদের গাড়ির কাছে এসে তাদের ‘সন্ত্রাসী’ বলে চিৎকার শুরু করে।
তারা গাড়িতে লাথি মারতে শুরু করলে মারজুক বাইরে বেরিয়ে আসেন। পরে হামলাকালীরা তার ওপর আক্রমণ করেন।
তার স্ত্রী দিয়ানা আতার হামলা থামানোর জন্য তাদের প্রতি হাতজোর করে অনুরোধ করেন কিন্তু তারা এতে কর্নপাত না করে হামলা চালাতে থাকেন। তারপর ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে তারা সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন।
পুলিশ আসার আগেই তার স্বামী রাস্তার ওপর পড়ে ছিল এবং অঝোরে তার কান দিয়ে রক্ত ঝরছিল।
মারজুককে দ্রুত টরন্টোর একটি ট্রমা সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ এবং একাধিক ফ্র্যাকচারের কারণে তার অস্ত্রোপচার করা হয়।
শুরুতে পুলিশ এটিকে রাস্তার তাৎক্ষণিক কোনো ক্রোধের কারণে এই হামলার ঘটনা বলে ধারণা করে। কিন্তু ব্যাপক তদন্তের পর মঙ্গলবার রাতে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এটি একটি ঘৃণা অপরাধ।
পিল আঞ্চলিক পুলিশের মুখপাত্র আখিল মকেন বলেন, ‘প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে শুরুতে মনে হয়েছিল এটি রাস্তার তাৎক্ষণিক কোনো ক্রোধের ফল। পরে প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা এবং ব্যাপক তদন্তের পর এটি একটি ঘৃণা অপরাধ হিসেবে প্রমাণ হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।’
অভিযুক্তরা দুই ভাই। তাদের বয়স যথাক্রমে ১৯ ও ২৭ বছর। ন আনাদুলো এজেন্সি