বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: এগার হিজরিতে রাসূলুল্লাহর (সা.) ওফাতের পর মুসলিম জাহানের উপর এক বিশাল তুফান নেমে আসে। এ তুফান ছিল সাহাবি নামধারী একদল ক্ষমতালোভী রাসূলের (সা.) ঘোষিত খলিফা তথা আমিরুল মু'মিনিন আলীকে (আ.) সরিয়ে নিজেরা খেলাফত দখল করে নেয়।
খেলাফত দখলকারী উক্ত মহলের এহেন পদক্ষেপের বিপরীতে আমরা দু'ধরনের অবস্থান দেখতে পাই। প্রথম অবস্থানে ছিলেন স্বয়ং আমিরুল মু'মিনিন আলী (আ.); তিনি উক্ত মহলের এমন পদক্ষেপের জবাবে অত্যন্ত ধৈর্য ও সহিঞ্চুতার পরিচয় দেন এবং যে কোন ধরনের সংঘর্ষ থেকে বিরত থাকে।
এমনটির নেপথ্য কারণ ছিল রাসূল (সা.) আলীর (আ.) প্রতি উক্ত ঘটনার পূর্বাভাস দিয়ে আদেশ করেছিলেন যে, এমতাবস্থায় ধৈর্যধারণ করতে; যাতে মুসলিম উম্মাহ বিভক্তির শিকার না হয়। তাই তিনি শত নির্যাতন স্বত্বেও দখলকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র হাতে নেন নি।
আর দ্বিতীয় অবস্থানে ছিলেন নবী নন্দিনী ফাতেমা যাহরা (আ.)। যেহেতু রাসূলের (সা.) পক্ষ থেকে এ সম্পর্কে তার প্রতি কোন নির্দেশনা ছিল না; তাই তিনি খেলাফত দখলকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদমূখর হয়েছিলেন এবং তাদের প্রকৃত চেহারা মুসলমানদের নিকট তুলে ধরেছিলেন। শাবিস্তান