বার্তা সংস্থা ইকনা'র রিপোর্ট: মাহে রবিউল আওয়াল আসলে আমাদের সমাজের চারিদিকে ঈদে মিলাদুন্নবীর মাহফিলের সাড়া পড়ে যায়। সর্বত্র ব্যানার ও ফেস্টুন দেখা যায়। কোথাও কোথাও ওয়াজ মাহফিল আর মিলাদ মাহফিলে হাজার হাজার ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের সমাগম ঘটে। কিন্তু এখানে একটি বিষয় আমাদের প্রত্যেকের শিক্ষণীয় হচ্ছে যখন আমরা ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করব, তখন যেন আমাদের মন ও অন্তর রাসূলের (সা.) সাথে সম্পৃক্ত থাকে। অর্থাৎ আমাদের কাজে ও কর্মে এটা প্রমাণিত হবে যে, আমরা রাসূলের (সা.) প্রকৃত অনুসারী।
অবশ্য আরও একটি বিষয়ের প্রতি মনোযোগ দেয়া জরুরী যে, শুধুমাত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপনই আমাদের ঈমানের পরিচয় বহন করে তা নয়। বরং মিলাদুন্নবীতে রাসূলের (সা.) স্মরণে আমাদের যাবতীয় অনুষ্ঠানাদিতে রাসূলের সিরাত ও মাধুর্যপূর্ণ চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যসমূহ পরিদৃষ্ট হতে হবে।
রাসূল (সা.) এমনই মহিমান্বিত ও সর্বোত্তম চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যে সমৃদ্ধ ছিলেন যে, জাহেলি যুগের আরব মুশরিকরাও তাকে আল আমিন ও আল সাদীক উপাধিতে ভূষিত করেছিল। কাজেই আমরা যদি রাসূলের প্রকৃত অনুসারী হতে চাই, তবে আমাদেরকেও উত্তম চরিত্রের অধিকারী হতে হবে।